আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তা অনেকের কাছে অস্পষ্ট মনে হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। নিচে সেগুলোর মূল কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
১. প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক ভাষা ব্যবহার
আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রায়ই প্রযুক্তিগত বা বৈজ্ঞানিক শব্দ ও পরিভাষা ব্যবহার করে, যেমন:
-
“বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে”
-
“লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে”
-
“ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের অবস্থান”
-
“নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত” ইত্যাদি
এই শব্দগুলোর অর্থ অনেক সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার নয়।
২. অস্পষ্টতা বা অনির্দিষ্টতা
বার্তাগুলোতে অনেক সময় সুনির্দিষ্টতা থাকে না। যেমন:
-
“বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে” – কিন্তু কোথায়, কতটুকু, কবে তা পরিষ্কার হয় না।
-
“তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছাকাছি থাকবে” – কিন্তু “স্বাভাবিক” বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা বলা হয় না।
৩. অধিক আনুষ্ঠানিক বা সরকারি ভাষা
সরকারি নথির ধাঁচে লেখা বার্তাগুলো অনেক সময় জটিল ও দূরত্ব তৈরি করে। এই ভাষা সহজ, কথ্য ভাষার কাছাকাছি না হওয়ায় সাধারণ মানুষ আগ্রহ হারায় বা বুঝতে অসুবিধা হয়।
৪. ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার অভাব
শুধু লিখিত বার্তা থাকলে অনেকের কাছে তা বোধগম্য হয় না। যদি মানচিত্র, চিত্র বা ইনফোগ্রাফিক যুক্ত করে ব্যাখ্যা করা হতো, তাহলে অনেক বেশি বোঝা যেত।
৫. ভূগোলগত বিভ্রান্তি
অনেক সময় জেলার নাম বা এলাকা উল্লেখ করা হলেও মানুষ বুঝে না সেটা নিজের এলাকার সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা।
উদাহরণ: “বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায়…” – কিন্তু কেউ জানে না তার উপজেলা বরিশালের অন্তর্ভুক্ত কিনা।
সমাধানের দিক:
-
সরল ও কথ্য ভাষায় বার্তা দেওয়া
-
মানচিত্র বা চিত্রসহ উপস্থাপন
-
সুনির্দিষ্ট সময় ও এলাকা উল্লেখ করা
-
সামাজিক মাধ্যমে সহজ ফরম্যাটে প্রচার করা
-
শিক্ষামূলক কনটেন্ট তৈরি করে সচেতনতা বাড়ানো
আপনি চাইলে আমি একটি জটিল আবহাওয়ার বার্তা নিয়ে সাধারণ ভাষায় উদাহরণ দেখাতে পারি।
0 Comments