আপনার কথাটি মূলত বোঝাচ্ছে যে—শ্রমিকরা অভ্যুত্থান, আন্দোলন বা সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে, এমনকি জীবন ও শ্রম দিয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করলেও, বাস্তবে তাঁদের জীবনযাত্রার অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয় না।
ইতিহাসে অনেক উদাহরণ আছে যেখানে শ্রমিক শ্রেণি রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য লড়েছে, কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর নতুন নেতৃত্বও প্রায়শই পুরনো শোষণ ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারেনি। কারণগুলো হতে পারে—
-
নেতৃত্বের শ্রেণিগত স্বার্থ: নতুন শাসকগোষ্ঠীও প্রায়শই শ্রমিক শ্রেণির বাইরে থেকে আসে এবং নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে পুরনো কাঠামো অক্ষুণ্ণ রাখে।
-
অর্থনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন না হওয়া: শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলালেও উৎপাদন, সম্পদ বণ্টন ও মজুরি নীতিতে মৌলিক সংস্কার না হলে শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি হয় না।
-
সংগঠন ও প্রতিনিধিত্বের অভাব: আন্দোলনের পর শ্রমিকদের নিজস্ব শক্তিশালী সংগঠন যদি টিকে না থাকে, তবে তাঁদের দাবিগুলো দ্রুত উপেক্ষিত হয়।
-
বাজার ও আন্তর্জাতিক চাপ: বৈশ্বিক পুঁজিবাদী কাঠামো শ্রমিকবান্ধব নীতি গ্রহণে নতুন রাষ্ট্রকে চাপের মুখে ফেলে।
0 Comments