সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Ad Code

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের এমন ভরাডুবির কারণ কী

https://www.revenuecpmgate.com/pkntideur?key=96f46eb2a5b8b468f3ec8fb77fdafa23 


সম্ভাব্য কারণগুলি

১. সংগঠনের দুর্বলতা ও প্রস্তুতির অভাব
চত্রদল-সংগঠন ক্যাম্পাস-হল পর্যায়ে শক্তভাবে উপস্থিত ছিলেন না বলে অনেক বিশ্লেষক বলছেন। অনেক জায়গায় হিন্দল-হল-ভিত্তিক কাজ নেই। ফলে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ কম হয়েছে। 

২. ছাত্র আন্দোলনের উত্তাপ ও নতুন রাজনৈতিক মডেল
জুলাই-ভিত্তিক ‘গণ-অভ্যুত্থান’ ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের কারণে ছাত্রদের রাজনৈতিক চেতনায় পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষার্থীর মনোভাব হয়ত পুরনো পার্টি-ইডিওলজি থেকে একটু বিহারিক বা নতুন র‌্যাডিকাল স্থিতিতে গেছে। চত্রদল হয়তো সেই পরিবর্তন বোঝাতে পারেনি বা নতুন আন্দোলন-রূপে নিজেকে সাজাতে পারেনি। 

৩. প্রচারণার পার্থক্য ও মিডিয়া/গণমাধ্যমে জনপ্রিয়তা
চিত্রটা এমন যে, চাত্রদল প্রচারণায় পিছিয়ে ছিল — অনলাইন বা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার, ভোটার মনোগ্রাহী পয়েন্ট তুলে ধরা, জনসংযোগ ইত্যাদিতে কাজ কম হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। 

৪. ছাত্রশিবির দিয়েও কাজ করা ও প্রশাসনিক সক্ষমতার ব্যবহার
ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল শক্তভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল, প্রশাসনিক পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রভাব বা সুবিধা পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন-ভুঁইফোঁড়ভাবে অথবা প্রকল্পমালা অনুসারে কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের কথা বলেছে কেউ কেউ। 

৫. আচরণ ও ভাবমূর্তি নিয়ে নানারকম অভিযোগ
চত্রদল-সংক্রান্ত কিছু নেত্রী/কর্মী সন্দেহভাজন কাজের অভিযোগ পেয়েছেন (চাঁদাবাজি, হুমকি-ধমকি, হল-নানা প্রশাসনায় বাদানুবাদ ইত্যাদি), যা ছাত্রদের মনোবল ও বিশ্বাসে প্রভাব ফেলেছে। 

৬. ভোট পড়ার নিয়ম ও নির্বাচনী তত্ত্বাবধান বিষয়ে অভিযোগ
অনেকেই বলছেন ভোটার ফুটা চেক, OMR/machine-ভিত্তিক ভোট গ্রহণ, ভোট-গণনা প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে; ভোটার তালিকায় নাম মিসিং হওয়া, ভোটারদের পরিচয়পত্র ও হল-বাসস্থানের ইস্যু; এইভাবে «নির্বাচনি পরিবেশ» নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। 

৭. প্রাতিষ্ঠানিক প্রশাসনের ভূমিকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন-সংক্রান্ত কিছু দিক থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে — যেমন ব্যালট বা OMR প্রিন্টিং, ভোটার তালিকা তৈরি, সাধারণ প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে ক্ষমতা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা ও বোঝাপড়া-বিভ্রাট। 

  1. নবীনতা ও অভ্যন্তরীণ বিভাজন
    চত্রদল-সংগঠন মনে হচ্ছে অভ্যন্তরীণভাবে অনেক ক্ষেত্রে বিভাজন ও একমতৃহার অভাব রয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমতা বা ঐক্যপূর্ণ মডেল যেন নেই। অনেকেই বলছেন যারা আন্দোলনে ছিলেন বা নতুন প্রার্থী হয়েছেন, তারা সংগঠনে পুরনো নেতাদের সঙ্গে টানাপোড়েন করেছেন। 


উপসংহার

চিত্রটা বলছে, চিত্রদলের পরাজয় কেবলই একটি নির্দিষ্ট দিক থেকে নয়, বরং একাধিক কারণের সমন্বয়ে ঘটে গেছে — সাংগঠনিক দুর্বলতা, ছাত্রদের পরিবর্তিত মনোভাব, প্রচারণার ব্যর্থতা, প্রশাসনিক ও নির্বাচনী তত্ত্বাবধানের সমস্যা, এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্বাস হারানোর ইস্যু সহ।

Post a Comment

0 Comments